সোমবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শুক্রবার : রহমত, বারাকাত ও ইতিহাসের মিলনমেলা

আরো খবর

একাত্তর ডেস্ক:
মানবসভ্যতার ইতিহাসে কিছু দিন এমন আছে, যেগুলো আল্লাহ তাআলার হিকমতের কারণে যুগে যুগে পুনরায় ফিরে আসে—পুনর্জাগরণ, মুক্তি ও বিচার দিনের প্রতীক হয়ে। ইসলামের দৃষ্টিতে জুমাবার (শুক্রবার) এমনই এক দিন, যার মধ্যে সৃষ্টির সূচনা, নবুয়তের আলো, উম্মাহর ঐক্য এবং কিয়ামতের ঘোষণা একসূত্রে মিলেমিশে আছে।

 

 

 

জুমাবার কোনো সাধারণ দিন নয়। আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত আছে, মহানবী (সা.) বলেন,

“‏ خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا وَلاَ تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ ‏”‏

যেসব দিনে সূর্য উদয় হয় তার মধ্যে জুমুআর দিনই উত্তম।

 

 

 

এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিনই তাকে জান্নাত হতে বের করা হয়েছে। আর জুমুআর দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৮)
অতএব, ইতিহাসের সূচনা, মানবতার পরীক্ষা এবং মহাবিচারের সমাপ্তি—সবকিছুই এই দিনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

 

 

 

১. সৃষ্টির শুরু : জুমাবারের প্রভাত

পবিত্র কোরআনের ভাষায়, ‘আল্লাহ ছয় দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, তারপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন।

’ (সুরা আল-আ‘রাফ, আয়াত : ৫৪)

 

 

 

 

বিখ্যাত মুফাসসির ইবনে কাসির (রহ.) ও কুরতুবি (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন—এই ছয় দিনের শেষাংশ ছিল জুমাবার। তখনই আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করে তাঁর মধ্যে আত্মা ফুঁকে দেন। (তাফসির ইবনে কাসির, ২/২০৫)

সুতরাং মানব ইতিহাসের প্রথম শ্বাস, প্রথম চেতনা, প্রথম আল্লাহর প্রশংসা—সবই শুরু হয়েছিল জুমাবারের ভোরে। আল্লাহ এই দিনকে নির্বাচিত করেন মানবজীবনের সূচনার জন্য, কারণ এটি ছিল রহমত ও নূরের দিন।

 

 

 

২. নবীদের ইতিহাসে জুমাবারের ছায়া

ইতিহাসের পাতায় আমরা দেখি, প্রায় সব নবীর জীবনে জুমাবারের সঙ্গে কোনো না কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা জড়িত।
• নূহ (আ.)-এর যুগে, যখন পৃথিবী প্লাবনে তলিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাঁর নৌকা ‘জুদি পর্বত’-এ স্থির হয় জুমাবারের দিন। (ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ১, পৃ. ১০৩)

• ইবরাহীম (আ.)-এর দোয়ার বরকতে কাবা শরিফের ভিত্তি স্থাপনের কাজও শুরু হয় শুক্রবারে। অষ্টম শতাব্দির বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার ইমাম আস-সাখাওয়ি (রহ.) বলেন, ‘আয়ামুল্লাহ তথা আল্লাহর দিনগুলোর মধ্যে ‘জুমাবার’ অন্যতম দিন।’

• মুসা (আ.)-এর জাতি বনি ইসরায়েলকে আল্লাহ শনিবারকে পবিত্র দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন।

কিন্তু তারা জুমাবারের মর্যাদা হারিয়ে শনিবারে অতিরিক্ততা দেখায়, ফলে তাদের ওপর গজব নেমে আসে এবং তারা বানররূপী হয়ে যায়। (সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত : ১৬৩-১৬৬)
এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, জুমাবার কেবল ইবাদতের দিন নয়; এটি ইতিহাসে নবী-প্রেরিত চেতনার দিন, যা ভুলে গেলে জাতি পথ হারায়।

৩. নবীজির যুগে জুমাবারের বিপ্লব

রাসুলুল্লাহ ﷺ মদিনায় হিজরতের পথে কয়েকদিন কুবায় অবস্থান করেন। এরপর শুক্রবার সকালে তিনি মদিনার দিকে রওনা হন, এবং মদিনায় পৌঁছার আগে বনু সালিম ইবনে আওফ গোত্রের এলাকায় (যা ওয়াদি রানুনা নামে পরিচিত) প্রথম জুমা জামাআত আদায় করেন।

টাই ইসলামী ইতিহাসের প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত জুমা নামাজ। (আস-সীরাহ ইবন হিশাম, খণ্ড ১, পৃ. ৪৯৩)
এর আগে মক্কায় জুমা নামাজের আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। কারণ সেখানে মুসলমানরা সংখ্যায় ছিল অল্প এবং সামাজিক চাপ ছিল প্রবল। কিন্তু মদিনায় হিজরতের পর নবীজির প্রথম উদ্যোগগুলোর একটি ছিল জুমা নামাজকে সমাজের কেন্দ্রবিন্দু করা। কারণ জুমা কেবল নামাজ নয়—এটি ইসলামী সমাজের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আত্মিক ঐক্যের প্রতীক।

হাদিসে এসেছে,

“‏ مَنْ تَرَكَ ثَلَاثَ جُمَعٍ تَهَاوُنًا بِهَا طَبَعَ اللهُ عَلَى قَلْبِهِ ‏”‏ ‏.‏

‘যে ব্যক্তি তিন জুমা ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেয়, আল্লাহ তার হৃদয়ে সীলমোহর বসিয়ে দেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ১০৫২)

ইমাম নববি (রহ.) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, এটি কেবল নামাজ বাদ দেওয়ার সতর্কতা নয়; বরং মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহর বার্তা।

৪. জুমাবার: উম্মাহর ঐক্যের দিন

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন—

‘হে মুমিনগণ! যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ছুটে যাও এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সূরা আল-জুমা, আয়াত :৯)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এটি কোনো ব্যক্তিগত নির্দেশ নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান—যাতে তারা এক মঞ্চে, এক খুতবায়, এক কাতারে মিলিত হয়।’

অতএব জুমা দিন উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। সামাজিক অসাম্য, জাতিগত বিভাজন, শ্রেণি-সংঘাত—সবকিছুর ঊর্ধ্বে এক জামাআতে দাঁড়ানো মুসলমানের আত্মপরিচয় ও ভ্রাতৃত্বের পুনর্ঘোষণা।

৫. ইসলামী ইতিহাসে জুমাবারের গৌরবগাঁথা

ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে জুমাবার বারবার ফিরে এসেছে বিজয় ও পুনর্জাগরণের দিন হয়ে।

• ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আওয়াল (শুক্রবার)—রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বিদায় খুতবা দেন, যা মানবতার ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজনীতি।

• ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দের এক শুক্রবারে হযরত উমর (রা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা বায়তুল মুকাদ্দাস জয় করে, এবং সেখানে প্রথম জুমা আদায় হয়—যেখানে উমর (রা.) নিজ হাতে নামাজের স্থান নির্ধারণ করেন।

• ১১৮৭ খ্রিষ্টাব্দে, ঠিক জুমাবারের দিন সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রহঃ) ক্রুসেডারদের পরাস্ত করে আল-আকসা মসজিদ পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল জুমা নামাজ পুনঃপ্রবর্তন।

• ১৪২০ হিজরির এক শুক্রবারে, বসনিয়া যুদ্ধের মধ্যে সারায়েভোর ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে পুনরায় আজান ধ্বনিত হয়—মুসলিম প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে।

এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, জুমাবার ইতিহাসে শুধু ইবাদতের নয়, বরং মুক্তিরও দিন।

 

 

 

৬. জুমাবারের রহমত ও বিশেষ মুহূর্ত

হাদিসে এসেছে—

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ فِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللهَ تَعَالَى شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ وَأَشَارَ بِيَدِهِ يُقَلِّلُهَا.

আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আহর দিন সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বলেন, এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যে কোন মুসলিম বান্দা যদি এ সময় সালাতে দাঁড়িয়ে

 

 

 

আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাকে অবশ্যই তা দিয়ে থাকেন এবং তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৩৫; মুসলিম: ৮৫২)

ইমাম মালিক (রহ.) বলেন, ‘এই সময়টি আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত।’

অন্যদিকে ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, “এটি এমন এক গোপন মুহূর্ত যা আল্লাহ বিশেষ বান্দাদের জন্য রহস্য রেখেছেন, যাতে তারা সর্বদা দোয়ার প্রতি আগ্রহী থাকে।’

জুমাবার তাই কেবল নামাজ নয়, বরং এটি দোয়ার দিন, রহমতের দিন, ক্ষমা প্রার্থনার দিন।

 

 

৭. কিয়ামতের সূচনা: ইতিহাসের শেষ জুমাবার

রাসুলুল্লাহ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন—

“কিয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবার।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫৪)

ইবনে হাজার (রহ.) লিখেছেন—‘এটি এই দিনের সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রমাণ করে। কারণ যেভাবে আদম (আঃ)-এর সৃষ্টি হয়েছিল জুমাবারে, তেমনি মানব ইতিহাসের অবসানও হবে একই দিনে।’

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক শুক্রবার মানুষকে স্মরণ করানো হয় তার মৃত্যুর দিনের কথা, কারণ শুক্রবারই হবে পুনরুত্থানের দিন।’ (আল-বাইহাকি, শু‘আবুল ঈমান)

 

 

 

এই দৃষ্টিকোণ থেকে জুমাবার প্রতিটি মুসলমানের জন্য এক ক্ষুদ্র কিয়ামত দিবসের স্মৃতি—একটি আত্মসমালোচনার আহ্বান, যেখানে বান্দা সপ্তাহে একবার নিজেকে প্রস্তুত করে চূড়ান্ত বিচারের জন্য।

৮. ভবিষ্যতের ইতিহাসেও জুমাবারের সম্ভাবনা

ইসলামী ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী জুমাবারের সঙ্গে আরও বহু মহান ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে।

ইবনে কাসির (রহ.) আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া-তে উল্লেখ করেছেন যে, ইমাম মাহদী (আ.)-এর বায়আত মক্কার হারামে অনুষ্ঠিত হবে জুমাবারের রাতে বা ভোরে।

ঈসা (আ.)-এর অবতরণও হতে পারে জুমাবারের দিন।

এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো প্রমাণ করে, ইতিহাসের শেষ অধ্যায়ও জুমাবারের সঙ্গেই যুক্ত থাকবে। শুরু যেমন হয়েছিল রহমতে, শেষও হবে ন্যায় ও বিজয়ে।

 

 

 

৯. জুমাবারের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: বর্তমান সময়ের শিক্ষা

আজকের মুসলমানদের জন্য জুমাবার কেবল ছুটির দিন নয়; এটি আমলের মাধ্যমে নিজে শুধরে নেয়ার দিন। আধুনিকতার কোলাহলে, পুঁজিবাদের দৌড়ে, বস্তুগত জীবনের ঘূর্ণিতে—এই দিনটি বান্দাকে ডেকে আনে তার প্রকৃত পরিচয়ে।

জুমাবারের নামাজ, খুতবা, দোয়া, কুরআন তিলাওয়াত—সবই মুমিনকে স্মরণ করিয়ে দেয় তার রবের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করতে।

 

 

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে, পরিপাটি হয়, মসজিদে যায়, মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে ও চুপ থাকে, তার এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৫৭)

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, “জুমাবারের এই নবায়নই মুমিনের ঈমানকে জীবন্ত রাখে।”

 

 

 

১০. জুমাবার: সময়ের দর্শন ও ইসলামী সভ্যতা

ইসলামী সভ্যতা সময়কে কেবল ঘণ্টা-মিনিটে মাপে না; বরং সময়ের প্রতিটি বিন্দুকে দেখে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রেক্ষাপটে। জুমাবার তাই সময়ের স্রোতে এক আধ্যাত্মিক মাইলফলক, যা আমাদের শেখায়—

• সময় একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না, কিন্তু জুমা সপ্তাহে একবার ফিরে এসে ঈমানকে নবায়ন করে।
• সমাজে যতই ভাঙন ঘটুক, জুমার এক খুতবা সব মুসলমানকে এক কাতারে দাঁড় করায়।
• ইতিহাস যতই বিভক্ত হোক, জুমা প্রতিটি সপ্তাহে ইতিহাসের সূচনা ও সমাপ্তি একসাথে স্মরণ করিয়ে দেয়।

 

 

 

এ কারণেই ইমাম ইবনে আল-কাইয়্যিম (রহ.) বলেছেন, ‘জুমা দিন হচ্ছে সপ্তাহের ঈদ। এটি দুনিয়ার জন্য এক স্মরণ, আর আখিরাতের জন্য এক প্রস্তুতি।” (জাদুল মাআদ, খণ্ড ১, পৃ. ৩৯৮)

জুমাবার যেন এক ইতিহাসচক্রের কেন্দ্রবিন্দু—যেখানে অতীতের সূচনা, বর্তমানের ঐক্য, আর ভবিষ্যতের পুনরুত্থান মিলেমিশে আছে।

এই দিনেই মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল, এই দিনেই তার বিচার হবে, এই দিনেই ইতিহাসের শেষ পরিণতি নির্ধারিত হবে।

প্রতিটি জুমা আমাদের মনে করিয়ে দেয়:

 

 

‘সবকিছুরই সূচনা ও সমাপ্তি আল্লাহর হাতে, আর মানুষ তার মাঝে কেবল সময়ের পরীক্ষার্থী।’
অতএব, জুমাবারের শিক্ষা হলো—আত্মাকে প্রস্তুত রাখা, সমাজে ঐক্য বজায় রাখা, এবং ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে আল্লাহর স্মরণে জেগে থাকা।

 

 

 

এই দিনটি শুধু সপ্তাহের নয়, বরং মানব ইতিহাসের হৃদস্পন্দন—যার ছন্দে বেজে ওঠে আল্লাহর তাওহীদের অমর সুর। সূত্র: কালের কন্ঠ

 

 

আরো পড়ুন

সর্বশেষ