সোমবার, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সৌদিতে কাটানো সময় আমার কাছে সত্যিই বিশেষ-রোনালদো

আরো খবর

একাত্তর ডেস্ক:
গ্লোবাল ট্যুরিজম ফোরামে অংশ নিতে রিয়াদে হাজির হয়েছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। সেখানে এক আবেগঘন ভাষণে সৌদি আরবের প্রতি নিজের গভীর ভালোবাসা ও সম্পর্কের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “সৌদি আরবই এখন আমার ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ এবং সৌদিতে আমার অভিজ্ঞতা জীবনের এক ‘অদ্বিতীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক অধ্যায়’।”

রোনালদো বলেন, ‘আমি সবসময় সৌদিদের বলি, আমি তোমাদেরই একজন। আমি একজন সৌদি মানুষ।

’ তার এই বক্তব্যে উপস্থিত শ্রোতারা করতালিতে ফেটে পড়েন।

 

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর থেকে রোনালদো শুধু সৌদি ফুটবলের ইতিহাসই বদলে দেননি, বরং দেশটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানকার ফুটবল দ্রুত এগোচ্ছে। প্রতি মৌসুমে মান বাড়ছে, আর আমি এই যাত্রার অংশ হতে পেরে গর্বিত।


সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর আগমন ছিল এক যুগান্তকারী মুহূর্ত। তার পরপরই দেশটিতে এসে খেলেছেন করিম বেনজেমা, রিয়াদ মাহরেজ, মার্সেলো ব্রোজোভিচ ও সাদিও মানের মতো বিশ্বমানের তারকারা।

রোনালদো আরো জানান, তিনি সৌদি আরবের বড় বড় প্রকল্পগুলোর প্রতি আস্থা রাখেন এবং জীবনের বাকি সময় এখানেই কাটাতে চান।

রোনালদোর সঙ্গে তার সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও সন্তানরাও সৌদি সংস্কৃতির সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিয়েছেন।

বড় ছেলে ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়র আল নাসরের একাডেমিতে যোগ দিয়েছে, যার সুবাদে সম্প্রতি সে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পেয়েছেন।
রোনালদো প্রায়ই জাতীয় উৎসবে অংশ নিচ্ছেন, এমনকি গোল করার পর সৌদি ঐতিহ্যবাহী নাচ ‘আরদা’ ও ‘আগাল’ উদযাপনে দেখা গেছে তাকে। আল ফাইহা ক্লাবের বিপক্ষে তার বিখ্যাত ‘আগাল সেলিব্রেশন’ সৌদি সমর্থকদের হৃদয় জয় করে নেয়।

৪০ বছর বয়সেও দুর্দান্ত ছন্দে আছেন এই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তবে সম্প্রতি এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি শিগগিরই অবসর নেব।

গত ২৫ বছরে ফুটবলের জন্য আমি আমার সবকিছু দিয়েছি। হয়তো এক বা দুই বছরের মধ্যেই অবসর নেব। নিশ্চিতভাবেই ২০২৬ বিশ্বকাপই হবে আমার শেষ।’

 

হাসতে হাসতে তিনি আরো যোগ করেন, “যখন বলি ‘শিগগিরই’, হয়তো ১০ বছর পর বলতে চাই! অবশ্যই মজা করছি… কিন্তু এই বয়সে এসে বছর নয়, মাস গোনা শুরু হয়।”

রোনালদো বলেন, ‘আমি এখন জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি, সৌদিতে কাটানো সময় আমার কাছে সত্যিই বিশেষ।’

সূত্র: কালের কন্ঠ

 

আরো পড়ুন

সর্বশেষ